হট লাইন : 01310426011

জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড , বাংলাদেশ

المجلس التعليمي للمدارس القومية بنجلاديش

সর্বশেষ বার্তা:  

বোর্ডের সিলেবাস ও কারিকুলাম

১. দরসে নেযামীর পাশাপাশি মক্তব থেকে দাওরা পর্যন্ত তাবলীগী নেসাব। যেমন, নবী-সাহাবাদের ঘটনা, দাওয়াতের মূলনীতি, দাওয়াতের অপরিহার্যতা, হায়াতুস সাহাবাহ, মুন্তাখাব হাদীস নেসাবভুক্ত করণ।
২. প্রত্যেক জামাতে ইলমুল আক্বায়েদ শেখানো। যেমন, এসো ঈমান শিখি থেকে শারহুল আক্বায়েদ পর্যন্ত পাঠদান।
৩. কুরআন পাকের তাফসীর। ধারাবাহিক তাফসীর অধ্যয়ন শ্রেণীভুক্ত করণ।
৪. আরবী ভাষায় পাণ্ডিত্ব অর্জনের জন্য প্রথমে ভাষা ও পরবর্তীতে ব্যকরণ শিক্ষাদান। যেমন, মক্তব থেকে ছোট ছোট আরবী বাক্য শিক্ষাদান করা এবং পর্যায়ক্রমে আরবী কথোপকথন ও লিখন (মুহাওয়ারা ও তাহরীর)।
৫. আরবী অলঙ্করশাস্ত্র সহজ ও যুগোপযোগী করে পেশ করা।
৬. ফিকাহশাস্ত্রে ক্লাসভিন্নতায় বিষয়বস্তুর তাক্বরীর ও তাশরীহ নেসাবভুক্ত করা। আরবী মতনের সাথে আরবী শরাহ মুতালা’আর অনুশীলন।
৭. বিষয়ভিত্তিক আয়াতসহ হিফযুল হাদীস চালু করা।
৮. প্রত্যেক জামাতে সীরাত ও ইতিহাস অন্তর্ভুক্তিকরণ।
৯. তা’লীম ও দাওয়াতের সমণ্বয়ে শিক্ষাদান। যেমন, ফাযায়েলে ইলমকে রোজানা দরসের অন্তর্ভূক্তকরণ ও পাঠদানের অন্তর্বন্তিকালীন উস্তাদের নেগরানে খুরুজ, ছুটিতে অভিভাবকের তত্বাবধানে খুরুজ।
১০. অবশাসনমুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরীর মাধ্যমে শিক্ষাদান পদ্ধতি প্রণয়ন করা। যেমন, কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে জেলা ও থানাভিত্তিক ধারাবাহিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা।
১১. এসএসসি সমমান সাধারণ শিক্ষা চালু করা।
১২. গণহারে সবাইকে আলেমের সার্টিফিকেট না দিয়ে তূলনামূলক দুর্বল ছাত্রদেরকে মাধ্যমিক পর্যায় থেকে সম্মানজনক উপাধি দিয়ে কর্ম ও দাওয়াতমুখী করে দেওয়া।

শিক্ষাকাল সর্বমোট আঠারো বছর। যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে দেওয়া হল:-

(১) ৫ বছর ইবতিদাইয়্যাহ ( প্রাথমিক)
(২) ৩ বছর মুতাওয়াসসিতাহ (নিম্ন মাধ্যমিক)
(৩) ২ বছর মুতাওয়াসসিতাহ আম্মাহ (মাধ্যমিক)
(৪) ২ বছর মুতাওয়াসসিতাহ খাসসাহ ( উচ্চ মাধ্যমিক)
(৫) ২ বছর আলিয়া (স্নাতক)
(৬) ২ বছর আলিমিয়া (স্নাতকোত্তর)
দরসে নেজামির এ আঠার বছর শিক্ষাকাল শেষ করার পর তাখাসসুস (বিষয়ভিত্তিক উচ্চতর পড়াশোনা) -এর জন্য তিনটি শাখা চালু রয়েছে।
ক- ৩ বছরমেয়াদি তাখাসসুস ফিল ফিকহি ওয়াল ইফতা।
খ- ২ বছরমেয়াদি তাখাসসুস ফিদ দাওয়া ওয়াল ইরশাদ।
গ- ২ বছরমেয়াদি তাখাসসুস ফিল কিরাত।
ঘ- ২ বছর মেয়াদী তাখাসসুস ফিল ইক্বতিসাদ (ইসলামী অর্থনীতি ও শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা)
১. মুসলমানদের সমস্ত কার্যক্রম ইলমে ওহি মুতাবিক পরিচালনার লক্ষ্যে রোজানা ১ঘন্টা মসজিদভিত্তিক মাদরাসা কায়েম করা।
২. যুগোপযোগী সিলেবাসের মাধ্যমে ফরজে আইন পরিমাণ ইলম শিক্ষা দিয়ে হালাল-হারামের তারতম্য মেনে জীবন যাপন ও প্রয়োজনে ইমামতির যোগ্য করে গড়ে তোলা।
৩. প্রথমিক পর্যায়ের উর্দু ও আরবী ভাষা শিক্ষা প্রদান করা। যাতে দাওয়াতের ময়দানে যেকোন তাকাযা ও জামাত নিয়ে চলার উপযুক্ত করে দ্ওেয়া।
১. মুসলমানের শতভাগ সন্তানকে এই সিলেবাসের মাধ্যমে ফরজে আইন পরিমাণ ইলমে দ্বীন শেখানো।
২. প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রদের জন্য ১০বছর মেয়াদী ১ঘন্টার মসজিদভিত্তিক মাদরাসা তরতীব করা ও তাদের জন্য উপযুক্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা।
৩. আমাদের সমমনা শিক্ষকগণ কেন্দ্র থেকে ট্রেনিং নিয়ে দৈনিক ১ঘন্টার জন্য এসকল সুবহী মক্তবের শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করা।
প্রত্যেক মুসলিম নারীর জন্য যুগোপযুগী দ্বীনী সিলেবাস প্রদান করা। যাতে করে একজন নারী দ্বীনের যাবতীয় ফরজ ইলম শিক্ষালাভ করতে পারে এবং নিজ ঘরে প্রয়োজনীয় তালীম-তরবিয়তের পরিবেশ কায়েম করতে পারে।
জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সকল মাদরাসার ছাত্র, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সবাই দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতের সাথে জড়িত থাকবেন। তা'লীম ও তারবিয়তের পাশাপাশি মাদরাসা-মসজিদ ও আশপাশ মহল্লায় মসজিদ আবাদীর মেহনত করে দ্বীনী পরিবেশ তৈরী করবেন। বিশেষ করে প্রতিমাসে দরস বন্ধ রেখে ৩দিনের জন্য সকল প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্র ও শিক্ষক আল্লাহর রাস্তায় বের হবেন। প্রয়োজনীয় তা'লীম উস্তাদগণ মসজিদের পরিবেশেই সংক্ষিপ্তভাবে পাঠদান করবেন। যাতে করে মসজিদভিত্তিক তা'লীমের সাহাবাওয়ালা পরিবেশ তৈরী হয় এবং তাকাযার ভিত্তিতে মাশোয়ারার সাথে মুনাসিব শিক্ষকগণ বহির্বিশ্বেও সফর করবেন। এছাড়াও রোজানা ঈমানী মজলিস কায়েম এবং দাওয়াতের ব্যপারে উস্তাদগণ ছাত্রদেরকে আমলীভাবে মশক করাবেন।
স্বল্পমেয়াদী কারিগরি প্রশিক্ষন ব্যাবস্থা থাকবে বোর্ডের তত্বাবধানে। বিজ্ঞান শাখা ও গবেষনাগার থাকবে। থাকবে বিশ্ব মানের লাইব্রেরি ও ফতোয়া বোর্ড। বাংলা ভাষা সাহিত্য ও সাংবাদিকতার উপর বিশেষ প্রশিক্ষন কর্মসূচি। আরবী ভাষা সাহিত্যের উপর ১বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা। এছাড়া দক্ষ কারিগরি অনুষদ।কওমীর আলেমগন যাতে দ্বীনী খেদমতের বিনিময় না নিয়ে বিকল্প করসংস্থানে জিবিকার জন্য কাজ করবেন জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে দাওরায়ে হাদীস ফারেগ হওয়া আলেমগন। দাওয়াত তালিম ও তিজারা (ব্যাবাসা) কে সাথে নিয়ে চলবেন। হালাল রিজিক তালাশে জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড কারিগরি শিক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে দক্ষ করে তুলবে আলেমদের। প্রতিটি মাদরাসায় ১ বছরের ডিপ্লমা কোর্স থাকবে। কোর্স শেষে কারিগরি বিষয়ে ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। ১বছর মেয়াদী কোর্স সমুহ (পার্ট টািম দিনে ১ঘন্টা)। যেসব বিষয়ে একজন মাদরাসার ছাত্র আলেম হওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষন নিতে পারবেন।
ব্যসিক কম্পিউটার, জেনারেল ইলেক্ট্রনিক্র, ট্রাভেল টুরিজম এন্ড টিকেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন,ওয়েব ডিজািন, গ্রাফিক্স ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়া ডাটাবেজ সার্ভিসিং, কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন, অডিও ভিডিও সিস্টেস, আমিন প্রশিক্ষন, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টিভ, সেলস এন্ড কাস্টমার সার্ভিস, রড বাইন্ডার শাটারিং কারপেন্টার মেশন, হাউজ ওয়ারিং ইলেক্টিশিয়ান
বিল্ডিং পেইন্টার, ওয়েল্ডার অ্যান্ড গ্রিল মেকার, ইলেক্টিক্যাল ইন্সটলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স,
বিল্ডিং স্কাফোল্ডিং,, বিল্ডিং ডাক্ট,নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার প্রশিক্ষন, ড্রাইভিং কাম অটোমেকানিক্স, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশন, ওয়াল্ডিং, বিল্ডিং মেইন্টেনেন্স, সিভিল কন্সাট্রাকশন, ফার্ম মেশিনারি, টেইলারিং, মোবাইল সার্ভিসিং, বাশ বেত ও পাটি শিল্প, এমব্রডারি মেশিন অপারেটর, হটির্কালচার, ইউনানী চিকিৎসা, এলএমএফ এল্যোপাথিক পল্লী চিকিৎসা কোর্স, হিজামা বা কেপিং থেরাপি, বেকারি এন্ড কনফেকশনারী, ফাষ্টফুড, পোশাক তৈরি শিল্প, চমড়া শিল্প ও ট্যানারী,ব্লক, বাটিকা, প্রেস এন্ড প্রিন্টিং, মৎস চাষ, গাবাদি পশু পালন, কমিউনিকেশন স্কিলস,পাটজাত দ্রব্য সমগ্রী তৈরি কম্পোস্ট সার তৈরি, নকশিকাঁথা সেলাই, ফুল চাষ, মাশরুম চাষ,নার্সারি,হস্তশিল্প ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষন দিয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও কর্মমূখর গড়ে তুলা হবে।

বি.দ্র: জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড এর ওয়েব সাইটির ডেভোলপমেন্ট কাজ চলামান আছে।